অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:
গত এক সাপ্তাহ লক্ষ্মীপুরে সূর্যের দেখা মেলেনি। তবুও বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে লক্ষ্মীপুর ও আশপাশের উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল প্রায় দশ মিনিট। তীব্র শিতে কাঁপছে উপকূলীয় মানুষ।
একে তো তীব্র শীত, তার ওপর আবার বৃষ্টি। দু’য়ে মিলে স্বাভাবিক কাজকর্ম যেন থমকে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীপুরের জনজীবনে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়ায় দুর্ভোগ, অফিস যাতায়তে দুর্ভোগ, বাড়ি ফিরতেও দুর্ভোগ। নানান কষ্ট আর দুর্ভোগেই কাটলো গোটা সাপ্তাহ’।
হাড় কাঁপানো শীত আর বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার দিনভর নানান ভোগান্তির গল্পগুলো বিরক্তির সুরে এভাবেই বর্ণনা করছেন লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় মানুষেরা। তবে কেবল তারাই নয় তাদের মতো অনেক সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটিয়েছে বৃষ্টি ও শীত।
লক্ষ্মীপুরে মাঘের প্রথম সপ্তাহেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১৮জানুয়ারি) দুপুরের এক পশলা বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাস শীতের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। এদিন তাপমাত্রা নিচে নেমে যাওয়ায় কনকনে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে।
নতুন বছরে জানুয়ারির শুরু থেকেই দুই দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা লক্ষ্মীপুরের ওপর দিয়ে। তারপর খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা করছেন উপকূলীয় জেলার মানুষেরা। কিন্তু মাঘ মাস শুরুর পর থেকেই শীতের দাপট আবারও বাড়তে শুরু করে। আর বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি যেন তার প্রতাপে পূর্ণতা এনে দিয়েছে। দিনভর কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। হিমালয় ছুঁয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে দক্ষিন জনপদের ছিন্নমূল মানুষগুলোকে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে পথে-ঘাটে থাকা এই মানুষগুলো আজ দুর্বিষহ দিন পার করছেন।
গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা। আকাশে মেঘ রয়েছে। বৃষ্টিও হয়েছে। তাই দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামলেও পুরো লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়েই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২:৩০ টা থেকে ১২.৪০ মিনিট পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হয়েছে।
চলতি সপ্তাহ ধরেই তাপমাত্র ওঠা-নামা করছে। আজ বৃষ্টি হয়েছে। তবে কাল পরশুর মধ্যে আকাশে মেঘ কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। জানুয়ারির শেষ দিকে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ওই সময় তাপমাত্রাও কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এমআই