বুধবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২৪
মো. জাহিদুল হক, চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হাল্ট প্রাইজ অন-ক্যাম্পাস রাউন্ড চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম স্পার্ক। এছাড়া এতে প্রথম রানার-আপ হয়েছে টিম রকিস এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে টিম নিউপ্যাথি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাভিদ'স কমেডি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা নাভিদ মাহবুব, চবি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আফতাব উদ্দিন এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম।
সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল জরিম বলেন, হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধাকে বিকশিত করতে পারেন। হাল্ট প্রাইজ ধারাবাহিকভাবে তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাভিদ মাহবুব বলেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি অনেক কাজ করেছি, কিন্তু কোনোটাতেই তেমন সাফল্য পায়নি। তবে আমি হাল ছেড়ে দেয়নি। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি। শুরুতে আমি অনেক ছোট কাজও করেছি। পরবর্তীতে আমার মাথায় বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের সেবা করার চিন্তা থেকেই আজকে এ পর্যন্ত এসেছি। আমাদের এই কমেডি শো শুধু ঢাকাতেই হয়। মাঝে আমরা চট্টগ্রামে একবার করেছি। এখন থেকে প্রতিটি বিভাগে মাসে অন্তত একদিন শুরু করা যায কি-না চিন্তা করছি।
এদিন জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এবার চূড়ান্ত পর্বের বিচারক হিসেবে ছিলেন চবির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম লাইভের প্রতিষ্ঠাতা সাবের শাহ, জাপান টোবাকো ইন্টারন্যাশনালের টেরিটরি এক্সিকিউটিভ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ রিয়াদ এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ম্যানেজার এডমিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এবারের চ্যাম্পিয়ন টিম স্পার্কের মূল বিষয়বস্তু ছিল- দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য টেকসই ও সাশ্রয়ী মূল্যে শিক্ষা প্রদান করা। যারা ব্রেইল ডিভাইসের অভাবে সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর হাল্ট প্রাইজ একটি থিম উপস্থাপন করে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। এ বছরের থিম ছিল "আনলিমিটেড"। এ লক্ষ্যমাত্রাগুলো আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল প্রকৃতিকে স্বীকৃতি দিয়ে, বহুমাত্রিক সমস্যা মোকাবেলায় প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে উদ্ভাবনী সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।
এমআই