এম. পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে বসতবাড়িতে ঢুকে পাঁচ জনকে কুপিয়ে জখম করে মুনতাহার নামে ৫ বছরের এক শিশুকে অপহরণের ঘটনায় মো. কামরুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের।
মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই মামলার এজাহার নামীয় সিমান্তবর্তী ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল (৪৫), একই গ্রামের মনির হোসেন (৪৫)ও মো. পান্না মিয়া (৩২) ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানাগেছে, উপজেলা উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের গত (৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার) দুপুরে হোগলাবুনিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদারের বসতঘরে ঢুকে ইন্দুরকানির বালিপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের নের্তৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন এ হামলা চালায়। পরে ৪৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোস্তাফিজুর রহমানের ৫ বছরের শিশু নাতি মুনতাহারকে অপহরণ করে ফিল্মি স্টাইলে মোটরসাইকেল করে বীর দর্পে চলে যায়।
এ সময় হামলাকারিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আসাদুজ্জামান হাওলাদার (৪৫), সাইফুল ইসলাম (৩৪), বৃদ্ধ নানি হাসিনা বেগম (৬৫), কলেজ ছাত্রী মারজান আক্তার (১৮), মো. হিজবুল্লাহ (২৪) একই পরিবারে পাঁচজনকে রক্তাক্ত জখম করে।
এ শিশুটির খালা জেসমিন আক্তার বাদি হয়ে কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনার দুই দিন পর মামলাটি গ্রহন করে। (যার মামলা নং-১, তারিখ-১.২.২০২৪) শুক্রবার রাতে বালিপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদি শিশুটির খালা জেসমিন আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, শিশু মুনতাহার জন্ম থেকেই তাদের কাছে সে মায়ের মত তাকে লালন পালন করে বড় করেছে। শিশুটির মা জাকিয়া বেগম তারই ছোট বোন গত ১০ রমজানে সে মৃত্যুবরন করেছেন। পারিবারিক কলহে জাকিয়ার স্বামীর সাথে দ্বন্দ আদালতে মামলা রয়েছে। অপহরনের ৩ দিন হলেও ফিরে পায়নি মুনহাতারকে। ফিরে পেতে চাই মুনতারকে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, শিশু অপহরণের ঘটনায় ১০ জনের মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর