সাইদ আহম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়:
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পুরোদমে চলছে দেখে দেখে ল্যাব খাতা লিখার প্রচলন। আট মাস আগে সিন্ডিকেট সভায় ল্যাব খাতা লেখা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও সেই সিদ্ধান্ত মানছেন না শিক্ষকেরা।
গত বছরের ২৩মার্চ শেকৃবির কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের দশ তলা থেকে লাফিয়ে মাড়িয়া নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করলে আন্দোলনে ফেটেন পড়ে শিক্ষার্থীরা। আন্দলনে মিডটার্ম চালু, সাইকোলজিস্ট নিয়োগ এবং ল্যাব খাতা বন্ধকরণসহ বেশকিছু দাবি উত্থাপন করে শিক্ষার্থীরা।
শেকৃবি প্রসাশন ল্যাব খাতা বন্ধকরনের সাথে একমত পোষণ করে এবং দ্রুত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লেখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু কিছু কিছু শিক্ষক এখনো মানছেন না সেই সিদ্ধান্ত। প্রায় আট মাস পরেও এখনো চলমান রয়েছে পূর্বের রীতিতে ল্যাবখাতা লিখার প্রচলন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এএসভিএম অনুষদের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে পাত্তা না দিয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও পুরনো রীতিতে ল্যাব খাতা লেখাচ্ছেন, যা রীতিমতো সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই না। অন্তত তাদের উচিত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ল্যাব খাতা লেখানো বন্ধ করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের কৃষি অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ল্যাব খাতা না লেখানোর সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পাস হলেও নতুন সেমিস্টারে সেই আগের পদ্ধতিতেই ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। জানি না এই সিদ্ধান্তের কি কার্যকারিতা হয়েছে, তবে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত। মাড়িয়া মৃত্যুকেন্দ্রিক অন্য দাবিগুলো কার্যকর না হলেও এই একটি দাবি অন্তত বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল বলেন, আমাদের সিন্ডিকেটে ল্যাব খাতা লেখা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু বয়স্ক কিছু শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই রীতি পরিবর্তন করে নতুনত্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি, তাদের বুঝাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই পরিবর্তন সম্ভব হবে। আমরা পুরোনো খাতা দেখে ল্যাব খাতা লেখার পক্ষে নই।
সময় জার্নাল/এলআর