লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর-রামগতিতে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন রোধে বাঁধ নিমার্ণের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ মিলিত হয়ে মানববন্ধন করেন।
সোমবার সকাল ১০ টায় নদী ভাঙা সাধারণ মানুষের অরাজনৈতিক সংগঠন “কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ”র উদ্যোগে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ৭ লক্ষ মানুষের ভিটে-বাড়ি বাঁচাতে সরকার কর্তৃক গৃহিত নদী বাঁধ প্রকল্প একনেক মিটিং-এ পাসের দাবীতে মাতাব্বর হাট এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মঞ্চের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার ফলোয়ান, কমলনগর প্রেসক্লাব সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান, কমলনগর প্রেসক্লাব সেক্রেটারী ইউছুফ আলী মিঠা, যুবলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, ফলকন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হারুন, সমাজসেবক সাজ্জাদুর রহমান, হাজিরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসাইন বিপ্লব, খলিল মেম্বার, ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন লোটাস, আবদুল্লাহ আল রায়হান, সংগঠক ইমরান হোসেন শাকিল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, নদী ভাঙন রামগতি-কমলনগর উপজেলার প্রায় তিনশ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলিন হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২৬টি বাজার ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ও সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ বাস্তু ভিটা হারিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় আগামী একনেক সভায় নদীর তীর রক্ষাবাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রামগতি-কমলনগরের প্রায় ৭ লাখ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আশার বুক বাঁধছেন বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক এমপির সুস্থতা কামনাসহ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি মেজর অব. আবদুল মান্নানের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার বড়খেরী, লুধুয়া বাজার ও কাদির পন্ডিতেরহাট এলাকায় রক্ষা বাঁধ শীর্ষক প্রকল্পটি জিওবি অর্থায়নে মোট ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার প্রাক্কালিক ব্যায়ে ২০২১ সালের ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের নিমিত্তে আগামীকাল ১ জুলাই একনেক সভায় উপস্থাপন জন্য সার সংক্ষেপ (পতাকা-ক) এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
উক্ত প্রকল্পটির খসড়া প্রণয়ন সার সংক্ষেপ (পতাকা-ক) চলতি মাসের ১৭ তারিখে পরিকল্পনা মন্ত্রী চুড়ান্ত স্বাক্ষরে অনুমোদিত হয়ে একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য চুড়ান্ত করা হয়। এতে রামগতি-কমলনগরের ৭ লাখ মানুষ আশার আলো দেখছেন।
সময় জার্নাল/এসএ