সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা। এসময় সমাবেশে বক্তারা জাবিতে গণর্ধষনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং অব্যাহত নারী নিপীড়ন বন্ধ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেন।
রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে র আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কামাল রঞ্জিত মার্কেটে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাকৃবি শাখার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। নারীদের যে নিরাপত্তা তা আমরা দেখি না। বহুদিন ধরে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি তার জের ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন দম্পতিকে ডেকে এনে পরিকল্পিত গণধর্ষদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সেখানকার একজন ছাত্রলীগের নেতা এবং বহিরাগত পরিকল্পনা করে যে নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চুপ থাকায় আমরা হতবাক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে যারা নীতি নির্ধারক পর্যায়ে যাবে এবং দেশ পরিচালনা করবে তাদের বিবেক আজ কোথায় দিয়ে দাঁড়িয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন গণধর্ষণের শিকার হতে হয়, শিক্ষক দ্বারা লাঞ্ছিত হতে হয় এবং বন্ধু দ্বারা হয়রানি হতে হয়। সারাদেশে সব জায়গায় এখন নারীদের নিরাপত্তা নেই।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০২০ সালের ধর্ষণের ঘটনা এবং সিলেটের এম সি কলেজ গণধর্ষণের ঘটনার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকেই সমাজে ধর্ষণ বেড়ে চলেছে। সারাদেশে ছাত্রদের নিরাপত্তা নেই, ছাত্রীদের নিরাপত্তা নেই এমনকি শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষের স্বাধীনতার প্রশ্নে ছাত্র সমাজ কখনো আপোস করবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, নৈতিকতা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে এবং একটি বিবেকহীন সমাজ তৈরীর অপপ্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
যেখানেই সমস্ত মানুষের উপর নির্যাতন নেমে আসবে সেখানেই সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিচারের দাবি তুলবে এবং আন্দোলন গড়ে তোলবার চেষ্টা করবে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বরাবরই এই অপপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।
সময় জার্নাল/এলআর