আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে কারাবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত বেসরকারি ফলাফলে এমনটিই দেখা গেছে। এমনকি, বলা হচ্ছে যে নিজের দুটি আসনেই পিছিয়ে রয়েছেন নওয়াজ শরীফ।
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আশা করা হয়েছিল, এবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করবে। কারণ তার প্রতি সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর দাবি, তার দল খারাপ পারফরম্যান্স করেছে।
পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর দাবি করেছেন, দলটি ১৫০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে দেশটির সংসদীয় আসনের সংখ্যা ২৬৫টি। এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে, ‘ফলাফল জালিয়াতি’র উদ্দেশ্যে ভোট গণনায় গড়িমসি করছে ইসিপি।
এবারের নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআইকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে জোট সরকার। ফলে দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেন এবং বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকায় তারাই এগিয়ে রয়েছেন।
এএফপি বলছে, শুক্রবার সকাল ৬টা টা নাগাদ ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ার ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময়ের পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) মাত্র ৮টি জাতীয় পরিষদের ফলাফল ঘোষণা করে। সেগুলোর মধ্যে তিনটি আসনে জয়লাভ করেছেন পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এদিকে, ফলাফল জানাতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে ‘ইন্টারনেটের সমস্যা’ কে দায়ী করেছে ইসিপি।
এর আগে, প্রথম ফলাফল ঘোষণার আগে পিটিআইয়ের প্রধান সংগঠক ওমর আইয়ুব খান বলেছিলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের দল যথেষ্ট ভালো করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পরবর্তী কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার ক্ষমতা আমাদের আছে।
এদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করছে বলে মনে করছেন দলটির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, প্রাথমিক ফলাফল খুবই উৎসাহজনক।
সময় জার্নাল/এলআর