সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসনের কার্যকরী তৎপরতায় দুইদিনের মধ্যেই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিকারী সিএনজি চালককে আটক করেছে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটককৃত সিএনজি চালকের নাম মো. মোশারফ হোসেন (২৩)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার নাটেরকোনা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। পাশাপাশি বাকৃবি উপাচার্যের সাথে আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুনরায় স্ব স্ব পদে কাজ শুরু করেছেন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকা থেকে অভিযুক্তকে আটক করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিযুক্তকারীকে শনাক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে বিষয়টি জানানোর সাথে সাথেই আমরা আমাদের সকল বিভাগকে অবহৃত করি। সকলের সহযোগিতায় আমরা দ্রুত সময়ে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকা থেকে অভিযুক্তকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এখন মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সাথে গতকাল থেকেই কাজ করছি। অভিযুক্তকারীকে আটক করা হয়েছে। সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি কাজ করছি এবং করবো। একটি ইস্যু তৈরি হয়েছিলো, সেটির সমাধান হয়েছে। যে কোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বিনয়ী এবং ধৈর্য্যশীল হবে এমন আশা রাখি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, দ্রুতই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিকারী সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ সঠিক বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এ সকল কাজ করেছেন পুলিশের সহায়তায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রক্টরিয়াল বডির একটি সমস্যা হয়েছিলো। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় হতে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হোন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সিএনজি চালক পেছন থেকে এসে আশালীনভাবে ওই নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেয়। সেই সময়, তার সিএনজিতে কোনো যাত্রী ছিলো না। পরবর্তীতে, সেই সিএনজিচালককে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরের দিন (১০ ফেব্রুয়ারি) শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তালা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করে। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ পত্র জমা দেয়।
এমআই