আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ৮৪ হাজার ৫৬০ কোটি রুপির অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) শুক্রবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, সেনার তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বিমান) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন উপকূলরক্ষী বাহিনী (কোস্ট গার্ড)-র জন্য সমরাস্ত্র এবং সরঞ্জাম কেনা হবে এই অর্থে। তালিকায় উল্লেখযোগ্য হলো সমুদ্রে নজরদারি এবং হানাদারিতে ব্যবহৃত ‘মাল্টি-মিশন মেরিটাইম’ বিমান।
এ ছাড়া, নতুন প্রজন্মের ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মাইন, ‘এয়ার ডিফেন্স ট্যাক্টিক্যাল কন্ট্রোল রাডার’, ভারী টর্পেডো এবং উড়ন্ত যুদ্ধবিমানে জ্বালানি সরবরাহের উপযোগী ‘ফ্লাইট রিফুয়েলার’ বিমান।
শত্রুপক্ষের হানাদারি এবং অনুপ্রবেশ থেকে উপকূল রক্ষার ক্ষেত্রে ‘মাল্টি-মিশন মেরিটাইম এয়ারক্র্যাফ্ট’ ভারতীয় নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত।
এরই মধ্যে ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’ (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও) সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
মার্চ মাসের গোড়ায় ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত দফার পরীক্ষার কাজ শুরু হবে বলে ‘ইন্ডিয়া টুডে’-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে শুক্রবার জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করেছিলেন ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা। ভারতীয় স্থলসেনার হাতে ইতিমধ্যেই ১,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘নির্ভয়’ তুলে দিয়েছে ডিআরডিও। ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘নির্ভয়’-এর নৌ-সংস্করণ বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ‘ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের’ (সাবমেরিন লঞ্চড্ ব্যালিস্টিক মিসাইল বা এসএলবিএম) সফল পরীক্ষা করেছিল ডিআরডিও।
সময় জার্নাল/এলআর