খালেদ হোসেন টাপু, রামু:
ঢাকা বেইলি রোডে সংগঠিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রামুর ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার আহমদ হালালীর মেয়ে নাতি ও জামাইসহ স্বপরিবারে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নাস্তা খেতে ঢাকা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যান রামু ফতেখাঁরকুল শ্রীকুল এলাকার বাসিন্দার ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার আহমদ হেলালীর মেয়ে মেরুন্নেছা মিনা(২৪) ও তার স্বামী কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল (৩৫) এবং একমাত্র মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরা (০৩)।
রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই অগ্নিকাণ্ডে তাদের তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতদের সনাক্ত করে তাদের পরিবারবর্গ।
ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার আহমদ হেলালীর জামাতা নিহত কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উখিয়া হলদিয়া পালং পূর্ব গোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গ থেকে নিহতদেরকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে ফোনে নিশ্চিত করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার আহমদ হেলালী।
তিনি জানান শাহজালাল কাস্টমস হাউস কেরানীগঞ্জের পানগাঁও অফিসে কর্মরত ছিলেন। পানগাঁও বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিন দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন তারা। কিন্তু তাদেরকে মোবাইলে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে লাশ দেখে শনাক্ত করেছি।
পানগাঁও বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকার বাসা থেকে স্বপরিবারে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট নাস্তা খেতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে লাশ হলেন কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ স্বপরিবার। তাদের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
এমআই