সময় জার্নাল ডেস্ক
চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তিনি। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে এ সম্মেলন শুরুর কথা রয়েছে।
এবারের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ। এ বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩৫৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। গত বছর এই প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এ সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি।
শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। বেশি প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি পাওয়া গেছে।
সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর আয়োজন করা হয় ডিসি সম্মেলন। এবারের সম্মেলন শেষ হবে আগামী বুধবার (৬ মার্চ)।
এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। অন্যান্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
আরইউ