সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাড়া বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলতে নিষেধ করায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে বাসের ড্রাইভার ও হেলপারের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (২ মার্চ) দুপুর ৩টায় কুষ্টিয়ার মজমপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানি আহমেদ মিথুন। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়ায় চালিত নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৭৪৯৫) বাসের চালক রোকন ও তার হেলপার।
ভুক্তভোগী অভিযোগ অনুযায়ী, গত শনিবার বিকাল ৩টায় ক্যাম্পাসে আসার জন্য মজমপুর থেকে বাসে উঠেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এসময় তিনি অভিযুক্ত বাস চালক রোকন ও তার হেলপারকে বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলতে দেখে নিষেধ করেন এবং দ্রুত গাড়ি ছাড়তে বলেন। তখন অভিযুক্তরা তাকে বাবা-মা তুলে গালাগালি করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এসময় সে ভিডিও করতে চাইলে ড্রাইভার ও হেলপার ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং পরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে মারধর করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সানি আহমেদ মিথুন বলেন, একজন বাস ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক মারধরের বিষয়টি আমাকে চরম ব্যথিত ও লাঞ্ছিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ শিক্ষার্থীদের এমন আচরণের সাহস না পায়।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাস চালক রোকনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি। অভিযুক্ত চালককে ক্যাম্পাসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে কেউ যেন এধরনের সাহস না পায় সেই ব্যবস্থা নিবো।
ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। মৌখিক বক্তব্যের জন্য ওই শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাকে পাইনি। আগামীকাল তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।
এমআই