এম. পলাশ শরীফ,
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলতি দাখিল পরীক্ষায় স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৩ শিক্ষকসহ আলামীন খান নামে এক বহিরাগতকে আসামী করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এর মধ্যে বহিরাগত আলামীন খানকে (২২) গতকাল রবিবার হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান। গ্রেফতার আলামীন খান পুটিখালি গ্রামের মোঃ মাসুদ খানের ছেলে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন। রবিবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে পোলেরহাট আজহারিয়া দাখিল মাদরাসা উপকেন্দ্রের সহকারি হল সুপার মাওলানা মফিজুল ইসলামের দায়ের করা এ মামলায় অন্য তিন শিক্ষক আসামিরা হলো, ফুলহাতা দারুল কুরআন ফজলুল করিম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল আলিম, পঞ্চকরণ সিরাজ স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম গাজী এবং সোনাখালি আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক ইয়াকুব মাওলানা।
এর আগে রবিবার বেলা ১০টার দিকে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা শুরুর পরপরই পেলেরহাট আজহারিয়া দাখিল মাদরাসা উপকেন্দ্রে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে ধরা পড়ে। কেন্দ্রটিতে ৪৭৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত কেন্দ্রে দায়িত্বরত ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ধরা পড়ার সাথে সাথে সহকারি কেন্দ্র সচিব মাওলানা আব্দুস সোবাহানসহ দায়িত্বরত ২১জন শিক্ষককে এক বছরের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নতুন করে নিয়োগ দেওয়া কক্ষ পরিদর্শকেরা পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন।
কেন্দ্র সচিব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত সন্দেহে বহিরাগত আলামিন খানসহ তিন জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর