নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার রাতে রমনা থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলা করেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফার্সি। তিনি জানান, ওই ঘটনায় আদালতে চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে রিমান্ডে আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আসামি করা হয়েছে, ভবনটিতে থাকা ফাস্টফুড দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কজিকটেজের স্বত্বাধিকারী বলে উল্লেখ করা আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪) এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০)। তবে ভবনটির মালিক বা স্বত্বাধিকারী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান গাজী আহমেদ উল্লাহ্ বলেন, গ্রিন কজিকটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয়। ভবনটি শুধু জয়েন্ট ভেনচারে নির্মাণ কাজটি (ডেভেলপার হিসেবে) সম্পন্ন করেছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। ভবনের জমির মালিক ছিলেন হামিদা খাতুন নামে একজন নারী। ডেভেলপার হিসেবে ২০১৫ সালে এ ভবন নির্মাণের পর তথা ৯ বছর আগে সম্পূর্ণভাবে তা মালিক বা স্পেস ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। বর্তমানে ‘গ্রিন কজিকটেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে ওই ভবনের আলাদা মালিক সমিতি আছে। এই মালিক সমিতি ভবনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ফলে ভুল তথ্য জেনে কোনোভাবে মামলায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের নাম জড়ানো হয়েছে।
গাজী আহমেদ উল্লাহ্ বলেন, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মামলা যেহেতু হয়েছে, তাই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পর আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সঠিক ও ন্যায়বিচার পাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি প্রতিষ্ঠানটি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।
এমআই