চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: সেকান্দর চৌধুরী।
বুধবার (৬ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের
অনুমোদনক্রমে তাকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১৪ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. মো: সেকান্দর চৌধুরী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেওয়া হল।
অধ্যাপক ড. মো: সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য(প্রশাসনিক) হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায়। আপনারা জানেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গৌরব সেখানে কিছুটা ভাটা পড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ এর আইন কে প্রতিফলন করতে পারেনি। আমি চাইবো আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে ও সকলকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উক্ত মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।
অধ্যাপক ড. মো: সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য(প্রশাসনিক) হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায়। আপনারা জানেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গৌরব সেখানে কিছুটা ভাটা পড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ এর আইন কে প্রতিফলন করতে পারেনি। আমি চাইবো আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে ও সকলকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো: সেকান্দর চৌধুরী ১৯৬১ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে বি.এ এবং ১৯৮৩ সালে এম.এ পাশ করেন। তিনি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ২০০৩ সালের ১ আগস্ট তিনি বিভাগটির সভাপতির দায়িত্ব পান। দেশে এবং বিদেশে স্বীকৃতিমানের জার্নালে তার অনেক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
আরইউ