জেলা প্রতিনিধি:
অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে। এতে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণের জন্য ছিটানো পানি গড়িয়ে পাশে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে। ফলে কিছু কিছু মাছ অতিরিক্ত মিষ্টি পানি খেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এতে দেশে শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের হেড অব স্টেট মোস্তান বিল্লাহ আদিল দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু এটি দেশের সুগার মিলে সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড। এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০টি ডাম্পট্রাক দিয়ে গলিত র-সুগার আমাদের নিজস্ব জায়গায় ডাম্পিং করা হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি র-সুগার যাতে নদীতে না পড়ে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। এর পরও ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো কিছু পানি গড়িয়ে নদীতে পড়েছে। এতে আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, কারখানা থেকে বেশ কিছু ট্রাকে গলিত চিনি সরানো হচ্ছে। উত্তর-দক্ষিণ দিকে লম্বা এই সুগার মিলের দক্ষিণাংশে মূল ফটক দিয়ে গলিত চিনি বের হচ্ছে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো। এগুলো সরিয়ে এস আলম গ্রুপের নিজস্ব খালি জায়গায় নিয়ে ফেলা হচ্ছে, যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়।
গুদামের উত্তরাংশে অগ্নিকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পরও জ্বলছে আগুন। এতে পশ্চিমাংশে গুদামের দেওয়ালও ধসে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করছে ফায়ার সার্ভিস। ফলে ওই দেওয়াল ধসে পড়লেও যাতে আগুন ছড়াতে না পারে সেজন্য বালির বাঁধ দেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিমসহ ঢাকা থেকে আসা একটি টিম মঙ্গলবার থেকে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের আগুন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওপরে টিনের ছাদ থাকায় পানি দিয়েও কাজ হচ্ছে না। তবে আমরা প্ল্যান অনুসারে কাজ করছি।
গত ৪ মার্চ বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় এস আলম গ্রুপের গুদামে। এর পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের পর্যায়ক্রমে ১৫টি ইউনিট কাজ করেছে। বুধবার অগ্নিকাণ্ড কমে আসায় চারপাশ থেকে ঘিরে আছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন যাতে বাইরে ছড়াতে না পারে সে জন্যই কাজ করছে।
সময় জার্নাল/এলআর