জবি প্রতিনিধি:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব জনাব মোঃ গোলাম সারওয়ার এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আলীকদম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আলীকদম চৌকি) প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ।
সেই সাথে বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলা সদরকে পৌরসভা উন্নতিকরণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি এবং জেলা প্রশাসককে মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সম্পাদক জবি তরুণ মোঃ মহিউদ্দিন বন্ধু।সে তার জন্মভূমি বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আলীকদম থেকে প্রায় ১১১ কিলোমিটার দূরে জেলা কোর্টে গিয়ে আইনি সহায়তা পেতে কষ্ট দেখে ভাবনা ও কাজ শুরু।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার অন্যতম জনবহুল উপজেলা আলীকদম। ১৯৮২ সালে দেশে ৪৬০টি উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থাপন করা হয় যার জন্য নির্মিত ভবন এখনো আলীকদম উপজেলায় রয়েছে কিন্তু উপজেলা আদালত জেলা সদরে অবস্থানের কারণে এবং আলীকদম চৌকি আদালত না থাকার কারণে মামলা-মোকাদ্দমার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ করে মফস্বলের বিচার প্রার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার, নানামুখি হয়রানি, সময় ও অর্থের অপচয় তো হচ্ছেই, পাশাপাশি সুবিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে হরহামেশাই।এছাড়া আলীকদম থেকে বান্দরবান এর দূরত্ব যেমন প্রায় ১১১কিলোমিটার দূরে যার কারণে আইনের শাসনের উপকার ভোগ করা আলীকদমবাসী জন্য কষ্টদায়ক।এছাড়াও আলীকদম চৌকি আদালত প্রতিষ্ঠান করা হলে থানচি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনসাধারণ আর্থিক দিক দিয়ে যেমন লাভবান হবে তেমনি সুদূর জেলাসদরে আসা যাওয়ার ভোগান্তিও কমবে। যেহেতু একজন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১) ধারা অনুযায়ী তার এখতিয়ারাধীন অঞ্চলে সংঘটিত যেকোন অপরাধ আমলে নিতে পারেন এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান মোতাবেক প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে উপজেলার পুলিশ ,প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভাগগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কিনা বা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা তা নজরদারি করেন সেহেতু এই বিশাল দুর্গম পার্বত্য জনসমষ্টির বিভিন্ন আইনি সমস্যার যথাযথ সমাধান গ্রহণের মাধ্যমে উক্ত উপজেলার সমস্ত বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।বান্দরবান পার্বত্য জেলার অন্যতম জনবহুল উপজেলা আলীকদম।বর্তমানে এর জনসংখ্যা ৬৩৭৯৯ জন (জনশুমারী রিপোর্ট ২০২২)। দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ার কারণে নাগরিক পরিসেবা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে এই উপজেলা শহরে রুপান্তরের পথে তাছাড়া এই উপজেলার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকাঠামো আগের চেয়ে অনেক উন্নত।বর্তমানের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ ছেড়ে ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি সহজলভ্য করার জন্য অত্র উপজেলায় পৌরসভা গঠনের কোন বিকল্প নেই।
অনুপ্রেরণা,বিশেষ সহযোগিতা জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , পার্বত্য অভিভাবক বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি আঙ্কেল,মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ এমপি, আঙ্কেল, মাননীয় আইনমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী,আইন সচিব মহোদয়, স্থানীয় সরকার সচিব ,ভূমি সচিব মহোদয় ,চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, বান্দরবান সেনা রিজিয়ান কমান্ডার,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইয়াসমিন তিবরীজি ম্যাম , বান্দরবান জেলা প্রশাসক মহোদয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, কোয়ান্টাম পরিবার ,আমার সোনার বাংলাদেশ এবং আলীকদমের শুভানুধ্যায়ী ।
মহিউদ্দিন বন্ধু বলে আমার প্রিয় অভিভাবক বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আঙ্কেলকে জোরালোভাবে অনুরোধ এবং মনে করিয়ে দিবো। আঙ্কেল থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, এবং আইনমন্ত্রীকে একটু কল করে বললে কাজটি আরো দ্রুত হয়ে যাবে।আর আমাদের বান্দরবান জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ও কিছুদিন পরপর একটু মনে করিয়ে দিতে হবে।আলীকদমে জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য বিনম্র অনুরোধ করছি।
তরুণ আইকন মোঃ মহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির একমাত্র সর্বকনিষ্ঠ সম্পাদক সারা দেশে ১৯ কোটি গাছ রোপণ ও বিতরণ করে একটি নতুন পরিবেশ উপহার দিতে চায়।বাংলাদেশে দ্রুত সময়ে শতভাগ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সৌন্দর্যমন্ডিত সোনার বাংলা করার জন্য বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রজেক্ট পাঠায়। তার এলাকায় তরুণদের নিয়ে কয়েকটি বাজারও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে।ভিক্ষুকমুক্ত দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলীকদম জোন এর সহযোগিতায় তার এলাকায় প্রতিবন্ধী-প্রবীণদের নিয়ে মিটিং সহযোগিতা উন্নয়ন পরিকল্পনা কাজ করছে। সে কিছু প্রজেক্ট তৈরি করেছে উক্ত প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ভিক্ষুক মুক্ত হবে।সে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সৌন্দর্যমন্ডিত এবং ভিক্ষুক মুক্ত করতে চায়।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু সহ ১০-১৫ মন্ত্রী তার উদ্যোগ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাকে।মহিউদ্দিন এর আগে করোনাভাইরাস মহামারী সময়েও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সাথে দাফন সেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাবার, বাসস্থান অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষক করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে শিক্ষা ও উন্নয়ন লক্ষ্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মতবিনিময় আলোচনা সভা করেন। তাছাড়াও সিলেট সুনামগঞ্জ ভয়াবহ বন্যা সংকট মোকাবেলা এবং পূর্ণবাসীর জন্য জেলা প্রশাসন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় ও ভূমিকা রাখতে মহিউদ্দিন সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সৌন্দর্যময় এবং আরো প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ আরো সমৃদ্ধ জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ সাথে আলোচনা করে। উক্ত উদ্যাগ বাস্তবায়নে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক নির্দেশ টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ কায়সার খসরু সাথে কর্ম পরিকল্পনা করেছিল।তরুণ নব্য আইকন মহিউদ্দিন জনসচেতনতার জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানসহ দেশের উন্নয়নে সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।তরুণ সমাজসেবক মহিউদ্দিন ছোটবেলা থেকে বিতর্ক শিক্ষা সংস্কৃতিতে সাফল্যের ভূমিকা রাখেন। তিনি নেদারল্যান্ড কিংস ফাউন্ডেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক শিশু পুরস্কার ২০১৯ এর সম্মাননা সনদ অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি গ্রিন ইনোভেশন ভলেন্টিয়ার্স সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে আছে।সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একজন সদাচারী এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত।এই মানবিক উদ্যোগী তরুণ।
এমআই