জেলা প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়িতে আবারও উত্তেজনা বেড়েছে। জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাবের আহমদ (৪৩) আহত হয়েছেন। এছাড়াও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল আসলাম জানান, সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে ১১ বিজিবির দায়িত্ব এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে মোট ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সারাদিনে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার বিজিপির ১৭৯ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাবের আহমদ আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল ৪টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নে সীমান্ত জামছড়ি মসজিদের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি এবং বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপিসহ মিয়ানমারের অন্তত ৩৩০ নাগরিক।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে বিজিপির সদস্য ছিলেন ৩০২ জন। এছাড়াও তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর