মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আমাদের জন্য দোয়া করবেন, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে। আমাদের জলদস্যুরা আটক করে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কান্না জড়ানো কণ্ঠে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের শাকিলের।
বাংলাদেশী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ তে থাকা ২৫ জন নাবিককের মধ্যে দু’জনের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। তাদের একজন হলেন উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মোশারফ হোসেন শাকিল। অন্যজন ইছাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূঁইয়া গ্রামের সুজাউল হক ভোলা মিয়ার ছেলে আইনুল হক অভি। তবে তারা স্বপরিবারে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি থাকেন। মোশারফ হোসেন শাকিল নাবিক ও আইনুল হক অভি ওয়েল্ডম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আইনুল হকের বড় ভাই মুন্না বলেন,‘আমাদের সাথে গতকাল রাত ৮টায় শেষ কথা হয়েছে। তখন সে বলেছে আমাদেরকে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ওইখানে যেতে দুই থেকে তিন দিন লাগবে। আমাদের মোবাইলসহ সবকিছু নিয়ে ফেলবে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা সকালে কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি তারা যোগাযোগ করতেছে।’
জলদস্যুদের হাতে বন্দী হওয়া শাকিল ও আইনুলের বাড়িতে চলছে কান্নার আহাজারি। পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সকলের দাবি যাতে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে হোক তাদের জীবিত ফিরিয়ে আনে।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, আমার ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন শাকিল নামে একজন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক রয়েছে। তাকে ফিরে পেতে পরিবারের লোকজন আকুতি করছে। আমরা যতটুকু দেখছি সরকার তাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি আটক হওয়া সবাই দেশে ফিরে আসবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এম ভি আবদুল্লাহ' নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ।
আরইউ