ধর্ম ডেস্ক:
শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করা সুন্নত। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা সেহরি করো, সেহরিতে বরকত আছে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে পার্থক্য সেহরি খাওয়া। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা সেহরি খাই।’ (সহিহ মুসলিম, সুনানে তিরমিজি)
কিন্তু সেহরি না খেলেও বা সেহরির সময় না উঠতে পারলেও রমজানের রোজা হবে বা রোজা রাখতে হবে। রমজানের রোজা রাখা ফরজ।
গ্রহণযোগ্য ওজর ছাড়া রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে কাজা করার পাশাপাশি কাফফারাও দিতে হবে।
অর্থাৎ ওই রোজাটির পরিবর্তে আরেকটির রোজা রাখার পাশাপাশি একটি গোলাম আজাদ করতে হবে অথবা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করাতে হবে অথবা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখতে হবে।
আমরা যখন ইবাদত করবো, তখন আমাদের অবশ্যই এমনভাবে ইবাদত করতে হবে, তা যেন লোক দেখানো না হয় এবং মানুষের সামনে নিজেকে খাঁটি বান্দা প্রমাণ করা উদ্দেশ্য না হয়। বরং অন্তরে আল্লাহর ভয়কে জাগ্রত করে ইবাদত করাই জরুরি।
আর কোনোভাবেই আল্লাহর বিধানের লঙ্ঘণ করা যাবে না। বিশৃঙ্খলা বা বিপর্যয় সৃষ্টি করা যাবে না। তবেই মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সৎকর্মগুলো কবুল করেন এবং সব গুনাহের জন্য জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দেবেন। দান করনে অফুরন্ত রহমত।
সময় জার্নাল/এলআর