এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
আম, কাঠাল, আলু, টমেটো ও সুগন্ধি চাল এই ৫টি কৃষি পন্য নিয়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ফরিদপুরে প্রোগাম অন এগ্রিকালচার এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ এ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-ফারুক এর সভপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক(যুগ্ম সচিব) ওমর মোঃ ইমরুল মহসিন, উপপরিচালক মোঃ মফিদুল ইসলাম, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা ডিএএমঅংগ পার্টনার মোঃ সাহাদাত হোসেন।
আম, কাঠাল, আলু, টমেটো ও সুগন্ধি চাল এই ৫টি কৃষি পন্য নিয়ে কৃষি ব্যবসায়ে দেশে ২০ হাজার যবক ও নারীদের উৎসাহিত করে প্রশিক্ষন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিভিন্ন সাপোর্টসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাসুদ রানা ও সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা মোঃ রশিদুল ইসলাম।
ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারিপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ১৪টি উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এই কার্যক্রমে যন্ত্রপাতি, পরিবহণ, সংরক্ষনসহ অর্থ লোন ও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে ৫টি জেলায় ১৪শ যুবক ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
"কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে পাবে ন্যায্যমূল্য" জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের এই উক্তিকে সামনে রেখে কৃষিকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে বলেও বক্তারা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক(যুগ্ম সচিব) ওমর মোঃ ইমরুল মহসিন বলেন, এই প্রকল্পে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার লক্ষ্য রয়েছে, উন্নত জাতের ধান উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে ডিএলআই-৭ ও ৯ এর অধিনে কৃষি ব্যবসায় প্রশিক্ষন স্কুল, যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। আগামী ৫ বছর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি ও বিপণনে একটা আধুনিক পরিবর্তন আসবে।
সময় জার্নাল/এলআর