আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় "অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির" আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হয়েছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের করা গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল রাশিয়া ও চীন। তাদের ভেটোর ফলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি আটকে গিয়েছিল।
অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি অচলাবস্থায় ছিল। বারবার যুদ্ধবিরতি আহ্বানের পরও সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা।
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ তার এবং তার মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধেরই ইঙ্গিত দেয়।
অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা পরিষদ অচলাবস্থায় ছিল, যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা।
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ তার এবং তার মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয়।
অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, গাজায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটন, যেখানে ৩২ হাজার জনেরও বেশি মানুষ - প্রধানত মহিলা এবং শিশু - ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ত্রাণ বিতরণের জন্য আরও কিছু করার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে, যেখানে এটি বলা হয়েছে যে সমগ্র জনসংখ্যা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সাহায্যে ইসরায়েলের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ; ইসরায়েল জাতিসংঘকে দায়ী করেছে। এছাড়াও তারাই বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
এর আগে, হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির সঙ্গে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করেছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের করা এই খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১১টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীন এবং রোটেটিং সদস্য আলজেরিয়া এতে বিরোধিতা করে। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে গায়ানা।
নিরাপত্তা পরিষদের নীতি অনুযায়ী, একজন স্থায়ী সদস্য ভেটো দিলেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া এ প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
ভেটো দেওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা। তিনি বলেন, এই প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভণ্ডামি। যেখানে গাজায় প্রথমদিকে ইসরায়েলকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। সেখানে তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যখন “গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, খসড়াটিতে অত্যধিক রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং গাজার রাফা শহরে সামরিক অভিযান চালাতে ইসরায়েলের জন্য একটি সবুজ সংকেত রয়েছে।
দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা বলেন, প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির কোনো আহ্বান নেই। মার্কিন নেতৃত্ব ইচ্ছেকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে।
চীনের দূত ঝাং জুন বলেন, মার্কিন খসড়ায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি কৌশলে পরিহার করা হয়েছে, পাশাপাশি অস্পষ্ট রাখা হয়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
এমআই