নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী ভাটারার ৩৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বাছেক। রমজানে যেখানে নিত্যপণ্যের বাজারে অসহায় মানুষের জন্য নাকাল, সেখানে প্রতিবছরের মত এবারও মাস ব্যাপি হেঁটে হেঁটে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহেরী বিতরণ করছে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বাছেক।
ইফতার বক্সে প্রতিদিনই থাকে মোরগ পোলাউ, চিকেন বিরিয়ানি। সেহেরীতেও একই ব্যবস্থা। ইফতারি পাওয়া রিকশাচালক হাবিব বলেন, কাউন্সিলর প্রতিদিন রাস্তাঘাটে ইফতার ও সেহরি দেন। আমি মাঝেমধ্যেই ইফতার নেই। পরিবারের জন্যও নেই আরেক প্যাকেট।
ভাটারা এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় থাকেন আরেক বৃদ্ধা সাহেরা খাতুন। হাতে কয়েকটা পোটলা। । তিনি জানান, সংসারে তার স্বামী অক্ষম। নুন আনতে তার পান্থা ফুরায়। তাই বাধ্য হয়ে তিনিই রাস্তায় নেমেছেন। কাউন্সিলর বাছেকের দেওয়া সেহেরী পেয়ে বেজায় খুশি সে। জানান, রমজানে তেমন ভালোমন্দ খাবার জোটে না। হাতে খাবারের পোটলা নিয়ে অনেকটাই অশ্রু সিক্ত এই বৃদ্ধা।
কাউন্সিলরের ইফতারসামগ্রী পেয়ে আয়েশা খাতুন বলেন, হগলতে যদি এমনে আমগো দিত, তাই আর আমগোর হাত পাততে হইতো না। এই বয়সে চাইয়া মাইগ্যা খাওয়া ম্যালা কষ্ট বাবা।
জানা যায় গত সাত বছর যাবত এভাবেই ইফতার সেহেরী বিতরণ করে কাউন্সিলর বাছেক। তার বিতরণকৃত ইফতার ও সেহেরীতে প্রতিদিন হাসি ফোঁটে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষের।
প্রথম রমজান থেকেই দেখা যায় ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেই পৌঁছে দেন কাউন্সিলর। গরিব, অসহায় ও দিনমজুররাই প্রতিদিন এই ইফতার ও সেহরি নিয়ে থাকেন।
ডিএনসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম জানান, প্রত্যেক বছরের মতো এবারও তিনি রমজান মাসজুড়ে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করেছেন।
কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকায় ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষ বেশি। তাই আমার দায়িত্বও বেশি। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমি এমন উদ্যোগ জারি রেখেছি।
ঈদ উপলক্ষে মাদরাসার শিক্ষক মসজিদের ইমাম ও এতিমখানায় শাড়ি-লুঙ্গিসহ নানা উপহার বিতরণ করেন এই কাউন্সিলর। এবারও বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে আগস্ট মাসেও প্রতিদিন অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করতেও দেখা যায় এই কাউন্সিলরকে।
এমআই