দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের উপর দফায় দফায় হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী চিকিৎসকসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে নিজড়া মিনাপাড়ায় এবং পরে রাত সাড়ে ৯টার গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ও গাইনী ওয়ার্ডের মধ্যে এ হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
আহত ৩ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন, ডেন্টাল সার্জন ডাঃ সৈয়দা নূরে জান্নাত মীম, তার স্বামী ইতালী প্রবাসী সুলতান আহমেদ মিনা ও স্বামীর বড় ভাই স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান মিনা টুটুল।
ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষ দর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদরের নিজড়া মিনা পাড়ায় মিজানুর রহমান টুটুলদের সাথে একই বংশের দ্বীন ইসলাম মিনার সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি বলবৎ থাকা একটি জমির উপর দ্বীন ইসলাম মিনার লোকজন নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ সুলতান আহমেদ মিনা ও তার ভাইয়েরা এতে বাধা দেয়। একপর্যায় দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এসময় স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে ইতালী প্রবাসী সুলতান আহমেদ মিনার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ডাঃ সৈয়দা নূরে জান্নাত অঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০শয্যা জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর ওইদিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ স্ত্রী’র জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় জরুরী বিভাগের মধ্যে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন ইতালী প্রবাসী সুলতান আহমেদ মিনা। প্রতিপক্ষ দীন ইসলাম মিনার নেতৃত্বে স্থানীয় তার তিন ভাই ও বহিরাগতরা জরুরি বিভাগের মধ্যে ঢুকে তাকে লোহার রড, হাতুড়ি, হকিষ্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।
জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি অসুস্থ স্ত্রীর কাছে দৌড়ে যান সুলতান আহমেদ। কিন্তু সেখানেও তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলা থেকে ছোট ভাইকে বাঁচাতে সেখানে অবস্থানরত স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমানও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন।
এঘটনায় হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ আসলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনালের হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোগীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা রেখে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর