আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজা উপত্যকায় বহুজাতিক আরব বাহিনী মোতায়েনের মার্কিন-সমর্থিত ইসরাইলি প্রস্তাব ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। এই বাহিনীকে গাজায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং মানবিক সহায়তা পাহারা দেয়ার দায়িত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছিল।
হিজবুল্লাহ-সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্ক আলা-মায়াদিন শনিবার জানায় যে সিরিয়ার ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলো আরব দেশগুলোর বহুজাতিক সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, 'যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে আরব দেশগুলো গাজায় যে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী, তা থেকে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। ফিলিস্তিনি জনগণ উপত্যকার ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব নেতা ও প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে সক্ষম।'
ইতোপূর্বে খবর প্রকাশিত হয় যে গাজার ত্রাণ সহায়তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ব্যাপকভিত্তিক ক্ষুধা দূর করার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি আরব বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে আসলে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি বিকল্প গঠন করা যাবে বলে ইসরাইল আশা করছে।
ইসরাইলের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ ওই এলাকায় একটি পরিচালনা সংস্থা গঠন করবে। ফলে হামাস আর থাকবে না।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বহুজাতিক আরব বাহিনী গঠনের বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সাথে আলোচনা করেছেন। এ নিয়ে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকে এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যঅক সুলিভানের সাথেও কথা বলেছেন।
এদিকে আরেক ঘটনায় জানা গেছে, আরব দেশগুলোর সিনিয়র কর্মকর্তারা কেবল গাজা উপত্যকায় নয়, পশ্চিম তীরেও আরব বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছেন। গত সপ্তাহে কায়রোতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের সাথে বৈঠকে তারা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পরিকল্পনাটি নিয়ে ব্লিনকেনের সাথে আলোচনা করেন।
সময় জার্নাল/এলআর