সময় জার্নাল প্রতিবেদক : হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ৬ মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার দুপুর ১২টায় রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারকের নির্দেশে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জেলা শাখা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য আদালতে কঠোর নজরদারিতে ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইতোপূর্বে ছয় মামলায় ভার্চুয়াল শুনানিতে মামুনুল হকের তিন দিন করে ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জেলা পুলিশ হেফাজতে পাঁচ মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত ২ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত মামুনুল হক পিবিআই জেলা শাখার হেফাজতে শেষ তিন দিনের রিমান্ডে ছিলেন। এই ছয় মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া ছয়টি প্রতিবেদন আদালতে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের হেফাজতে শেষ তিন দিনের রিমান্ডে মামুনুল হক নাশকতার ঘটনার ব্যাপারে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার দেওয়া যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতাল কর্মসূচিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা চার মামলায় মামুনুল হককে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ আটকের পর নেতাকর্মীদের সহিংসতার ঘটনায় আরেক মামলায় মামুনুল হককে আসামি করা হয়। অপরদিকে গত ৩০ এপ্রিল ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। এই ছয় মামলায় মামুনুল হককে ১৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পিবিআই।
সময় জার্নাল/এসএ