নিজস্ব প্রতিবেদক:
গরম তীব্র থেকে অতি-তীব্র আকার ধারণ করছে। আজকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পার হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগের কোনো কোনো অঞ্চলে শুরু হয়েছে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ। ঢাকায় শুরু হচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আগামী দু’তিন দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, আজকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৬৪ সালে যশোরে ৪৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
কাজী জেবুন্নেছা বলেন, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে সিলেট এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আসলে বলার মতো তেমন কোনো বৃষ্টি এ মাসের বাকি দিনগুলোতে নেই।’
আগামী দু’তিনদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা মোটামুটি এরকমই থাকবে। তেমন বিস্তৃত পরিসরে ভারী বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কিছুটা কমে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগের তুলনায় এখন জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে আসছে। এটি একটি ভালো দিক। অস্বস্তি কিছুটা কম হবে। তবে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমনিতেই প্রচণ্ড গরমে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত। তাপমাত্রা আরও বাড়লে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এমআই