নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অমান্য করে
চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়ে যাচেছন এমপির বাবা-ছেলে-ভাই-শ্যালকসহ আত্মীয়-স্বজনরা।
এই ক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে আছে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা)। সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল ও ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন।
তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ এমপি (সাহাদারা মান্নান) আমাদের পক্ষে কাজ করছেন না এবং ভোট দিতে কাউকে বাধ্যও করছেন না।
প্রথম ধাপে বগুড়ার গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সজল অন্যতম। তিনি দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে গত শুক্রবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভা ও উঠান বৈঠকসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে সাখাওয়াত হোসেন সজলকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। এমনকি তার মা এমপি সাহাদারা মান্নানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
অপরদিকে, সোনাতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এমপি সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান ও সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা ও নির্বাচনি উঠান বৈঠক করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে ভোট করার বিষয়ে জানতে চাইলে মিনহাদুজ্জামান লিটন বলেন, ‘নাটোরের সিংড়া উপজেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত যারা নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও প্রভাব বিস্তার করছেন; তাদের এই নির্দেশ দিয়েছেন। এটি তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।’
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধন গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বগুড়া-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচনে সিরাজুল ইসলামকে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছিল। এজন্য তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন। পরে আওয়ামী লীগ তাকে প্রার্থিতা না দেওয়ায় তার ছেলে জাপা প্রার্থীকে পরাজিত করে এমপি হন। উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে সিরাজুল ইসলাম আবারও আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ ও শাজাহানপুর উপজেলায় আগামী ২৯ মে নির্বাচন হবে। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন জিন্নাহর শ্যালক ফিরোজ আহম্মেদ রিজু।
এমআই