বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) চলমান হিট ওয়েভের মধ্যে স্বশরীরে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিপার্টমেন্ট এর ক্লাস। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর কথা ঘোষণা করলেও বুটেক্সের এমন কোন সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র অসন্তোষ।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে চলমান তীব্র তাপদাহে দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস কার্যক্রম অনলাইনে নেওয়া শুরু হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) এ সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় নি, চলছে স্বশরীরে ক্লাস। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
তীব্র গরমেও স্বশরীরে ক্লাসসহ সকল কার্যক্রম প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার জানান, উপাচার্য দেশের বাইরে থাকায় তাঁর সময়সূচি সম্পর্কে জানা নেই। তাই এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে পারবো না।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান ৯ দিনের ছুটিতে দেশের বাইরে থাকায় রুটিন দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খাঁন।
তীব্র গরমে ক্লাস চালু রাখা প্রসঙ্গে রুটিন উপাচার্যকে জানানোর ব্যাপারে রেজিস্ট্রার আরও বলেন, রুটিন দায়িত্বে থাকার কারণে তাঁকে নীতিগত ও আর্থিক কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার শর্ত দিয়ে দেওয়ায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারবেন না।
উপাচার্য দেশের বাইরে আছে আর রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প সমাধান আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, ৪ দিন চলে গেছে বাকি ৫ দিনও আমাকে এভাবে চালাতে হবে। নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত কেও নিতে পারবে না। এছাড়াও এমনও সিনিয়র শিক্ষক আছেন যার সাথে যোগাযোগ করলে পরীক্ষা সামনে অসংখ্য ক্লাস বাকি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি না দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খাঁনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না এটা ঠিক না। এই পরিস্থিতি যেহেতু জরুরী অবস্থায় পড়ে সুতরাং এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। যেহেতু সেমিস্টারের শেষের দিকে এক থেকে দুই সপ্তাহ ক্লাস হবে তাই এমন সময় ক্লাস বন্ধ দিলে সময়সূচি মেলানো কষ্টকর হয়ে পড়বে। শিক্ষার্থীরা যদি মনে করে তারা ক্লাস করবে না বা এমন কিছু তবে স্ব-স্ব বিভাগের মাধ্যমে এই বিষয় জানাতে পারে৷ পরবর্তীতে আমরা এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম ব্যাচের এপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ জানান, এই তীব্র তাপদাহে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। এছাড়া ক্যাম্পাসে নেই কোন বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানির ব্যাবস্থা, এমনকি নতুন বিল্ডিং এর অনেক ফ্লোরে পর্যাপ্ত খাবার পানির ও অপ্রতুলতা রয়েছে। কিছুদিন পরেই আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল তাই সবদিক বিবেচনা করে ক্লাসগুলো অন্তত অনলাইনে হওয়া উচিত।
আরইউ