ইবি প্রতিনিধি
এ' ইউনিট তথা বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে পরীক্ষার্থীদের বিভান্ন ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভবনের সামনে ওই ভবনের নাম ও সিট প্লান সংবলিত ব্যানার না থাকায় হল চিনতে বিড়ম্বনায় পড়েন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। এছাড়াও দিকনির্দেশক চিহ্ন না থাকায় রুম খুঁজে পেতেও বেগ পেতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাক্ষাবর্ষের ভর্তি উপলক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ছয়টি ভবনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ভবনগুলোর মধ্যে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও মীর মোশাররফ হোসেন ভবন কেন্দ্রে ভবনের সামনে কোনো নাম লেখা নেই। প্রতিটি ভবনে দুটি করে গেট আছে। তার একদিকের গেটে ভবনের নাম লেখা থাকলেও অন্য পাশে কোনো নাম লেখা নেই। এছাড়াও গেটের সামনের রং উঠে গিয়ে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে প্রতি বছর ভবনের সামনে সিট প্লান সংবলিত ব্যানার দেওয়া থাকলেও এ বছর তা দেওয়া হয়নি। এতে নিজের সিটও খুজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের। এছাড়াও ক্যাম্পাস এরিয়ায় যথাযথ দিকনির্দেশক চিহ্ন দেওয়া হয়নি। কিছু চিহ্ন দেওয়া থাকলেও তা চোখের আড়ালেই পড়ে ছিলো।
এসময় কিছু পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, রাস্তাগুলোতে দিক নির্দেশক চিহ্ন দেওয়া নেই। এতে ভবনগুলো খুঁজে পেতে আমাদের কষ্ট হয়েছে। কিছু ভবনে কোনো নাম লেখা নেই। এছাড়াও আমাদের এডমিট কার্ডে কেন্দ্রের নাম ইংরেজিতে লেখা। কিন্তু ভবনগুলোতে নাম বাংলায় লেখা থাকায় আমার বিভ্রান্তিতে পড়েছি।
এ বিষয়ে সিট প্লান উপ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বলেন, প্রতি ভবনের সামনে সিট প্লান দেওয়াটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। ওগুলো কেউ সাধারণত দেখেও না। এছাড়া ভবনের নাম না থাকার বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি।
প্রসঙ্গত, আজকের 'A' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯১.০৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও আগামী ৩ এপ্রিল 'B' ইউনিট, ১০ এপ্রিল 'C' ইউনিট ও ১১ এপ্রিল নিজস্ব 'D' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরইউ