রবিবার, ১২ মে ২০২৪

সালথায় তীব্র তাপদাহে নুয়ে পড়ছে পাট, বিপাকে কৃষকেরা!

রোববার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
সালথায় তীব্র তাপদাহে নুয়ে পড়ছে পাট, বিপাকে  কৃষকেরা!

এহসান রানা,  ফরিদপুর প্রতিনিধি: 

প্রায় দেড় মাস  আগে সোনালী আঁশ পাটের বীজ বপণ করেন কৃষকেরা। এরপর থেকে দীর্ঘদিন যাবত  আর বৃষ্টির দেখা মিলছে না। কৃষকরা পানির জন্য হাঁহাঁকার করছেন। এমন অবস্থায় তীব্র খরার তাপদাহে নুয়ে পড়ছে তাদের ক্ষেতের পাট। অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো মেশিন দিয়েও ঠিকমতো সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে অতিরিক্ত খরায় ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে আছে।

পাট উৎপাদনে দেশসেরা ফরিদপুরের সালথা উপজেলা।  জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাট আবাদ হয়ে থাকে সালথায়। এবারও সালথা ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।

দেশের এই অন্যতম প্রধান অর্থকরি ফসলেই ফরিদপুর জেলার ব্যান্ডিং- ''সোনালী আঁশে ভরপুর ভালবাসি ফরিদপুর ''। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেই ভালবাসার ফসল নষ্ট হলে শুধু কৃষকেরাই নয়, কৃষিখাতেরও ক্ষতি বয়ে আনবে। যা দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ওপরেও নেচিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই চলমান তাপদাহের দুশ্চিন্তায় এখন কৃষকের থেকে বিস্তার পাচ্ছে আরো অনেকের মনে। 

তবে কৃষিবিভাগ বলছে, এই খরায় পাটের ওপর প্রভাব পড়বে না।

সরেজমিনে গেলে সালথার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামের পাটচাষি দবির হোসেন জানান, এবার পাটচাষ করে চরম সমস্যায় আছি। তীব্র দাবদাহে দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। পাটক্ষেতে বাড়ি সেচ দিতে গিয়ে ডিজেল কিনে কৃষকদের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় মহান আল্লাহ যদি মাত্র একবার বৃষ্টি দিতেন, তাহলে আমাদের বুক সমান পাটের চারা বেড়ে ওঠতো। সেইসাথে মাঠের পর মাঠ পাটের পাতা সবুজে ছেয়ে যেত।

কমল কুমার ও হারুন শেখ নামে দুজন  পাটচাষি জানান, বৃষ্টি তো নেই। পাতালে ও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। শ্যালো মেশিন দিয়ে মাটির নিচ থেকেও পানি উঠিয়ে সেচ দিতে গিয়ে অনেক সময় ব্যর্থ হই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার জানান, সালথায় এবার প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাটের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। তীব্র খরায় পাট গাছগুলো ধীরগতিতে বেড়ে ওঠছে। তবে আরও এক সপ্তাহ পরেও যদি বৃষ্টি নামে, তাহলে মাত্র ৭-৮ দিনেই পাটগাছ দ্রুত  বেড়ে ওঠবে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পাট খরা সহনশীল ফসল। তবে পাটের ভাল ফলন নির্ভর করে বৃষ্টির ওপরেই। চলামান খরার মধ্যে যেসব পাটের গাছ বড় হয়ে গেছে, সেগুলোর কোনো সমস্যা হবে না। খরায় ছোট পাটগাছের সামান্য সমস্যা হলেও বৃষ্টির পানি পেলে ঠিক হয়ে যাবে। যদিও পাটগাছ ধীরগতিতে বেড়ে ওঠায় কৃষকরা চিন্তিত। তবে কোনো ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। 
তিনি আরও জানান, জেলাব্যাপী মাঠে কাজ করছে আমাদের টিম। ভাল মানের পাট উৎপাদনের লক্ষে সব সময় কৃষকদের দ্রুত ও সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এমআই  


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল