নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ও প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের আগের দুইদিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দুইদিন তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
এক্ষেত্রে প্রতি উপজেলার ইউনিয়নপ্রতি একজন ও পৌরসভায় একজন করে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির উপসচিব জানান, নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ এবং নির্বাচনি অপরাধ রোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশনার আলোকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদ শূন্য থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপজেলা ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স বিশেষ করে বিজিবি’র (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। সে হিসেবে ভোটগ্রহণের দিন ও তার একদিন আগে-পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হবে।
পাশাপাশি নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে। স্থানীয় চাহিদা, ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।
এই ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান।
এমআই