নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা তাপপ্রবাহের কারণে হাঁসফাঁস জনজীবন। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী- যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। গতকাল সোমবারও মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গায়। এছাড়া খুলনা ও ঢাকা বিভাগেও অনুভূত হচ্ছে তীব্র দাবদাহ। গ্রীষ্মের উত্তাপ আর ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে। এমন অবস্থায় কবে বৃষ্টি নামতে পারে সেই আশায় আকাশপানে তাকিয়ে মানুষ। চলমান দাবদাহের এমন অবস্থার মধ্যে বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সংস্থাটির তথ্যমতে, বুধবার রাত থেকে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। ২ মে থেকে বৃষ্টি ঝরতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে কথা বলেন আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার রাত থেকে কমতে শুরু করবে। পরদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেদিনই কমবে সারাদেশে তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে ১০ মে পর্যন্ত।
শাহিনুল ইসলাম আরও বলেন, ৪ ও ৫ মে সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নামবে। তবে খুলনা-রাজশাহীতে হিটওয়েভ কমতে কিছুটা সময় লাগবে।
এই আবহাওয়াবিদ আরও জানান, বিশেষ কোনো জেলায় দরকার হলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে- যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রা সম্পর্কে বলা হয়েছে- সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
এমআই