আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কানাডা পুলিশ শিখ-কানাডিয়ান অ্যাক্টিভিস্ট হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
কানাডা কর্তৃপক্ষ ওই হত্যার সাথে ভারত সরকারের অ্যাজেন্টরা জড়িত বলে অভিযোগ করার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে গ্রেফতার করা হলো। ২০২৩ সালে নিজ্জরকে হত্যা করা হয়েছিল।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া তিন ব্যক্তিই ভারতীয় নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা, হত্যা করার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরসিএমপি সুপারিনডেন্টেড মনদীপ মুকার সাংবাদিকদের বলেন, 'তদন্ত এখানেই শেষ হচ্ছে না। আমরা জানি যে এই হত্যায় আরো লোকের ভূমিকা থাকতে পারে। আমরা এসব লোকের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে বদ্ধপরিকর।'
তিনি বলেন, 'এই ঘটনার সাথে ভারত সরকারের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা নিয়েই তদন্ত' করছি আমরা।
তিনি বলেন, এটি একটি চলমান তদন্ত। আমরা এখনই ওই ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারি না।
কানাডার নিহত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। ২০২৩ সালের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় গুরু নানক শিখ গুরুদুয়ারা মন্দিরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল।
হত্যার কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বলেছিলেন, তার দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো নিজ্জর হত্যায় ভারত সরকারের অ্যাজেন্টদের 'সম্ভাব্য যোগাযোগের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলো' তদন্ত করে দেখছে।
তিনি গত সেপ্টেম্বরে কানাডার পার্লামেন্টে বলেছিলেন, 'কানাডার মাটিতে কানাডার কোনো নাগরিককে হত্যায় কোনো বিদেশী সরকারের জড়িত থাকাটা আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন।'
তিনি বলেন, 'আমি সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালোভাবে বলছি, আমি ভঅরত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, এ ব্যাপারে তদন্তে ভারত সরকার যেন কানাডার সাথে সহযোগিতা করে।'
তার এই মন্তব্যে ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ভারত এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করে। ভারত সরকার কানাডাকে ভারতবিরোধী তৎপরতা এবং 'শিখ চরমপন্থা' দমনে পর্যাপ্ত কাজ না করার জন্য অভিযুক্ত করে।
সময় জার্নাল/এলআর