আদালত প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি ও জি আই স্বত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি লড়াই চালাবে ঢাকা। এজন্য আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা হাইকোর্টকে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে জিআই পণ্য ও জিআইযোগ্য পণ্যের তালিকা দাখিল করা হয়েছে হাইকোর্টে। প্রায় শতাধিক সম্ভাব্য জিআই পণ্যের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিলো শিল্প মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে লিখিতভাবে এসব তথ্য জানানো হয়।
আদালত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এফিডেভিট আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা।
ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা বলেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই পণ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে। সেই পণ্যটিকে ভারত তাদের পণ্য হিসেবে রেজিস্ট্রি করে প্রকাশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি রিট করেছি। ওই রিটে রুল জারি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের পর সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক তথ্য পাওয়া গেছে।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি তালিকা পেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা ক্রমবর্ধমান হারে চলবে। আর জিআইযোগ্য পণ্যের তালিকাও দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভৌগোলিক শনাক্তকরণ (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনের উপযোগী পণ্যের দুটি আলাদা তালিকা প্রস্তুত করে ১৯ মার্চের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তালিকা প্রণয়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর