আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ নিয়েছে মিসর। বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছে। অনেক কারণে মিসর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার রাফায় হামলা না চালানোর জন্য ইসরাইলকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করে দিয়েছিল মিসর। রাফার সাথে মিসরের সীমান্ত রয়েছে। এখানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। এখানে ইসরাইল হামলা চালালে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি মিসরে প্রবেশ করতে পারে।
ইসরাইলি বাহিনী মঙ্গলবার রাফার ফিলিস্তিনি ক্রসিং দখল করেছে। এর ফলে সীমান্তের মিসরীয় এলাকায় অবস্থানরত শত শত খাদ্য ও ওষুধবাহী ট্রাক আটকা পড়ে গেছে। আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগদানের বিবৃতিতে মিসর জানায়, বিশ্ব আদালত গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আদেশ দিয়েছে।
গত সপ্তাহে মিসরের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করে। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এটি গ্রহণ করার কথা জানায়।
রোববার প্রকাশিত মিসরীয় বিবৃতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্রও আছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে নয়, বরঙ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার পক্ষে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং স্পেন ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী মাদ্রিদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
কর্তৃপক্ষের মতে প্রায় ৪,০০০ বিক্ষোভকারী ব্যানার ও প্রতীক বহন করে গাজায় ‘গণহত্যার’ নিন্দা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ‘প্রতিরোধের’ প্রশংসা করেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মাদ্রিদ,বার্সেলোনা এবং ভ্যালেন্সিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্প্যানিশ শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ জুড়ে ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের অনুরূপ শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও ক্যাম্প স্থাপন করেছে।
সময় জার্নাল/এলআর