সময় জার্নাল ডেস্ক:
হিজরি সালের ১১তম মাস জিলকদ। ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে এ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী সা: জীবনে যে কয়টি ওমরাহ করেছেন তার সব ক’টি করেছেন এ জিলকদ মাসে। এ মাসেই সংঘটিত হয়েছিল হুদায়বিয়ার সন্ধি ও বাইয়াতে রিদওয়ান। রমজান-পরবর্তী ঈদের মাস শাওয়াল ও হজের মাস জিলহজের আগের মাস হওয়ায় জিলকদ মাসটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
ইবাদতের প্রস্তুতিমূলক বিশ্রাম : জিলকদ মাসের আগের চার মাস (রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল) ধারাবাহিক নির্ধারিত ইবাদতে ব্যস্ততম মাস। যেমন- রজব হলো আল্লাহর মাস, ইবাদতের ভূমি কর্ষণের মাস, বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাস।
শাবান হলো রাসূলল্লাহ সা:-এর মাস, ইবাদতের বীজ বপনের মাস; নিসফ শাবান বা শবেবরাত এবং সর্বাধিক নফল রোজা ও নফল ইবাদতের মাস। রমজান হলো উম্মতের মাস, ফসল তোলার মাস, ফরজ রোজা, তারাবির নামাজ, কিয়ামুল্লাইল; কুরআন নাজিলের মাস এবং ইবাদত ও তিলাওয়াতে মশগুল থাকার মাস।
জিলকদ মাসের স্মরণীয় ঘটনা
* এটি যেকোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধের মাস।
* ১ জিলকদ : হুদায়বিয়ার সন্ধি সংঘটিত হয়।
* এ মাসেই বাইয়াতে রেদওয়ান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
* ৮ জিলকদ : মুসলমানদের জন্য জীবনে একবার হজ পালনকে ফরজ করা হয়েছে।
* ২৫ জিলকদ : হজরত ইবরাহিম আ: ও হজরত ঈসা আ:-এর জন্ম।
* ২৫ জিলকদ : পবিত্র কাবা শরিফ; পৃথিবীতে প্রথম ভিত্তি স্থাপিত হয় বলে জানা যায়।
* সপ্তম হিজরির জিলকদ মাসে প্রিয়নবী সা: প্রথম ওমরাহ পালন করেন।
* এ মাসেই প্রিয় নবী সা: তাঁর জীবনের সব ওমরাহ পালন করেন।
জিলকদ মাসের আমল : প্রতি মাসের মতো এই জিলকদ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা পালন করা। চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজে বাবা আদম আ:-এর সুন্নত রোজা রাখা। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববীর রোজা পালন করা। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা। সালাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত বা দুহা, জাওয়াল ও আউওয়াবিন) পড়া। বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। দান-খয়রাত বেশি বেশি করা।
জিলহজ মাসের ৯টি সুন্নত রোজা ও মহররম মাসের ১০টি রোজার প্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে কিছু হলেও নফল রোজা রাখা আর যাদের সামর্থ্য ও সুযোগ রয়েছে, অর্থাৎ যাদের ওপর হজ ফরজ তাদের হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
সময় জার্নাল/এলআর