নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্টাডিজের (বিআইপিএস) পরিচালনা বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজার কনফারেন্স রুমে বিআইপিএস পরিচালনা বোর্ডের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং বিআইপিএস পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এম পির নেতৃত্বে পুনরায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারী ষ্ট্যাডিজ স্থাপনের জন্য প্রথম বোর্ড মিটিং আহবান করা হয়। বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম বক্তব্য দেন।
এছাড়াও আরও ছিলেন বিপিএটিসির রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, , জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান।
সভায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বে সংসদ সদস্যদের আপডেটেড তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্টাডিজ (বিআইপিএস) সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র সমৃদ্ধ ও গতিশীল করতে বিআইপিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্টাডিজ আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। শুরুর দিকে এই ইনস্টিটিউটের কাজের সঙ্গে বিজ্ঞ সংসদ সদস্যরা জড়িত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সচেষ্ট আছেন।
স্পিকার আরও বলেন, সংসদীয় কার্য সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে সংসদ সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংসদ সদস্যরা জটিল থেকে জটিলতর দায়িত্ব পালন করছেন। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।
এমআই