আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার বেশ কিছু মেডিকেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গাজায় বেসামরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা।
এদিকে রাফায় জাতিসংঘের একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে তিনি এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী রাফার কুয়েতি হাসপাতালের কর্মীদের হাসপাতাল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থবির হয়ে পড়বে। কারণ বেশিরভাগ হাসপাতালই জ্বালানির অভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৮২৭ জন।
একত্রিত হতে ও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। রোববার (১২ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যা হামাসের বাকি সদস্যদের পুনঃসংঠিত হতে সাহায্য করবে। আবার ইসরায়েলি বাহিনী যদি রাফা শহর ছেড়ে চলে যায়, তাহলে হামাস আবারও এই এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলকে এখন ‘গাজা থেকে বেরিয়ে আসা’ দরকার।
সময় জার্নাল/এলআর