সাইদ আহম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়:
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকা, পার্যাপ্ত সিলিং ফ্যান না থাকা সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এসব সমস্যা সমাধানে শেকৃবি প্রশাসনের কাছে আবেদনের পরেও মিলছেনা সুফল। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। গ্রন্থাগার বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকলেও সল্প সংখ্যক সিলিং ফ্যানের সাথে মানিয়ে নিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিন্তু সেই সল্প সংখ্যক সিলিং ফ্যানের মধ্যে কয়েকটি ফ্যান নষ্ট হয়ে যাওয়া যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। ফ্যানগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তীব্রগরমের মাঝে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বারবার জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেইনি লাইব্রেরী কতৃপক্ষ। এছাড়াও মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৬ মে ( মঙ্গলবার ) ফ্যান মেরামত করতে শেকৃবি প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করেছে লাইব্রেরী কতৃপক্ষ। তবে আবেদনের আট দিন পার হয়ে গেলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি শেকৃবি প্রশাসন।
অভিযোগ রয়েছে শুধু এই বিষয়েই নয় শিক্ষার্থীদের সমস্যা সামনে আসলেই ঘুমিয়ে পড়ে শেকৃবি প্রশাসন। কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হলেও তা সমাধানে নেন দীর্ঘ সময়।
এদিকে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রন্থাগারে একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরির পড়ালেখাও করেন অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষার এই সুষ্ঠু পরিবেশকে বজায় রাখতে দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা ।
এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান চর্চার অন্যতম প্রধান জায়গা হচ্ছে গ্রন্থাগার। এখানে সবাই আসে পড়ালেখা করতে কিন্তু গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত পরিমান ফ্যানের অভাব আবার যা আছে তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফলে গরমে পড়ালেখার করার মত সুষ্ঠ পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছেনা। গ্রন্থাগারে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিষয়টি দ্রুততার সাথে সমাধান করা উচিত।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের লাইব্রেরীয়ান ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন দিয়েছি তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু জানানো হয়নাই। এই বিষয়ে আমাদের আর কিছু করার নাই।
এমআই