দেব প্রসাদ ত্রিপুরা :
খাগড়াছড়ির ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরা (৫৫) হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত আসামী বিবেকানন্দ ত্রিপুরা (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে খাগড়াছড়ি সদর থানার চন্দ্র কুমার পাড়ার শর্পদং ত্রিপুরার ছেলে। এ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি নির্জন এলাকায় ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরাকে (৫৫) হত্যার পর হাত-পা বেধে বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ গুম করে রাখে বিবেকানন্দ ত্রিপুরা (৩৬)। এরপর নিহতের গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল নিয়ে খাগড়াছড়ি বাজারের একটি দোকানে বন্ধক রেখে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার পর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পানছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করে। পরে পুলিশের আভিযানিক একটি চৌকস দল সেখানে পলাতক অবস্থায় আসামি বিবেকানন্দ ত্রিপুরাকে (৩৬) গ্রেফতার করে। নিহতের স্বামী দ্রোন চার্য্য ত্রিপুরা মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।"
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি বিবেকানন্দ ত্রিপুরা (৩৬) অত্র মামলার ভিকটিম মৃত ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরাকে (৫৫) হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১মে ঝড় বৃষ্টির কারণে এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় পাশের বাড়িতে সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকার দিকে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন ভিকটিম ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরা।
পরবর্তীতে সে আর বাড়িতে না ফেরায় বাদী সম্ভাব্য সকল স্থানে এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে ভিকটিমকে না পেয়ে গত ১৩ মে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ ডায়েরীর সূত্র ধরে তদন্তকালে পুলিশ গত ১৫ মে খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন ৫নং ভাইবোনছড়া ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের কলাবন পাড়ার সেগুনবাগান থেকে ভিকটিম ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরা এর বিবস্ত্র দেহ হাত, পা, গলা বাধা এবং আংশিক পঁচা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেন।
সময় জার্নাল/এলআর