নিজস্ব প্রতিবদেক:
ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও তার প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে দেশের কৃষি খাতে। রেমালের আঘাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৮টি জেলায় রেমালের প্রভাব পড়েছে। এরমধ্যে বেশি ক্ষতি হয়েছে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা নড়াইল, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে ৭-৮ দিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
গত রোববার রাতে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বানের জলে ভেসে, দেয়াল ও গাছ চাপায়, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে প্রাণ গেছে অন্তত ১৬ জনের।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রেমালের আঘাতে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ জন। এসময় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি বাড়িঘর আংশিক এবং ৪০ হাজার ৩৩৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার ও সোমবার কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে মাঠে দণ্ডমান ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৫ হেক্টর আর আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি, ১০ হাজার ৮৪৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ২১ হাজার ৪৩৪ হেক্টর আউশের জমি, ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির বোরো ধান, ৪ হাজার ৮২৬ হেক্টর জমির বোনা আমন, ২৯ হাজারের হেক্টরের বেশি জমির পাট। এ ছাড়া তিল ও মরিচেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। আর ৭ হাজারের হেক্টরের বেশি জমির পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফলের মধ্যে আমের জমি ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর, লিচুর ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর এবং ৭ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমির কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমআই