এহসান রানা:
ফরিদপুরে নাইম শেখ নামের এক অটোবাইক চালককে হত্যার দায়ে মো. আশিক শেখ (১৮) নামের এক যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আশিক ফরিদপুর সদর উপজেলার লোকমান খাঁর ডাঙ্গী এলাকার মজিবর শেখের ছেলে। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
জানা যায় , হত্যার ঘটনার সময় আসামি আশিক শেখের বয়স ১৬ ছিল। তবে রায়ের সময় আদালত ওই যুবকের বয়স ১৮ পার হওয়ায় আগেই কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের আটকা আদেশ বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ শে এপ্রিল নাইম শেখ তার ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় নাইমের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকেন। অতঃপর একদিন পর নাইমের মরদেহ ফরিদপুর সদরের লোকমান খাঁর ডাঙ্গী এলাকার একটি মুরগীর ঘরের পাশে থেকে মাটি খুঁড়ে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় নিহত নাইমের গলায় শাড়ীর কাপড় পেঁচানো ও দু-পা বাধা ছিল। অতঃপর এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রাশেদ শেখ বাদী হয়ে অভিযুক্তের নামে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তখন আশিকের বয়স ছিল ১৬ বছর। এজন্য তাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পি.পি স্বপন পাল জানান, 'দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অভিযুক্ত আশিক শেখকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ রায়ের কারণে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে আশা করি।
এমআই