আন্তর্জাতিক ডেস্ক
টানা তৃতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদিকে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে এই জোটের সদস্য দলগুলো। শুক্রবার দিল্লিতে এনডিএ জোটের আইনপ্রণেতাদের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য জোটের পক্ষ থেকে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, আজ আরও পরের দিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে সাক্ষাৎ করবেন নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় তিনি নতুন সরকার গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানাবেন। আর নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীর শপথ রোববার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) একজন মুখপাত্র।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। গত এক দশকের মধ্যে এবারই প্রথম আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থনে জোট সরকার গঠনে বাধ্য হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
গত মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রকাশিত ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী, আগের দুই নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবার বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৪০ আসন। ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় সরকার গঠনের জন্য কোনও দল বা জোটের ২৭২ আসনের জয় দরকার।
নরেন্দ্র মোদির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন দেশটির বিরোধীদলীয় জোট ইনডিয়া পেয়েছে ২৩৩ আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৯৯ আসন।
গত ৪ জুন ভোট গণনা ও চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর শুক্রবার এনডিএ জোটের নেতাদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে বিজেপিদলীয় আইনপ্রণেতারাসহ অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) সর্বসম্মতিক্রমে নরেন্দ্র মোদিকে জোটের নেতা নির্বাচিত করেছে।
বৈঠকে জোটের নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করেন সদ্যবিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পরে বিজেপির অন্যান্য নেতা ও জোটের সদস্যরা মোদিকে জোটের নেতা নির্বাচনে সমর্থন জানান। মোদির নাম প্রস্তাবের সাথে সাথে নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতা ও জোটের জ্যেষ্ঠ নেতারা টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান। এ সময় অনেকে দাঁড়িয়ে ‘মোদি, মোদি!’ বলে স্লোগানও দেন।
টিডিপির একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলেছে, বিজেপির দুই মিত্র টিডিপি এবং জনতা দলের নজর সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার পদের দিকে। আর বিজেপি পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয় নিজেদের কব্জায় রাখার প্রত্যাশা করছে।
সূত্র: রয়টার্স।
আরইউ