যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটর পদে চাকরি প্রার্থী অপহরণ ও সিসিটিভি ফুটেজের হার্ডডিস্ক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীর আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যবিপ্রবি প্রশাসন। অপহরণ কান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করলেও রিজেন্ট বোর্ডের (সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম) ৯৯তম সভায় অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার (০৫ জুন) যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয় ১) অধিকতর তদন্ত চলাকালীন আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না; ২) যাদের বর্তমানে যবিপ্রবির ছাত্রত্ব আছে কেবলমাত্র তারাই ক্যাম্পাসে এসে চলমান ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং ৩) যে সকল শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত/ছাত্রত্ব নাই তারা কোন অবস্থাতেই ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ আদেশ অমান্য করে কোন শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অবস্থান করলে অথবা যাদের ছাত্রত্ব রয়েছে তারা ক্লাস ও পরীক্ষা ব্যতীত ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করলে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
৬ শিক্ষার্থী হলেন, ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোঃ বেলাল হোসেন (রোল: ২১২০২৩), পিইএসএস বিভাগের নৃপেন্দ্র নাথ রায় (রোল: ১৮১২০৫), ফার্মেসি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জিএম রাইসুল হক রানা (২২১০০১), পিইএসএস বিভাগের মুশফিকুর রহমান (১৯১২২০), ফাহিম ফয়সাল লাবীব (১৮১২০৮) ও মোঃ আবু বক্কার (২০১২১৯)।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, শৃঙ্খলা কমিটি আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করলেও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে তাদের কেউ আরোপিত শর্ত ভঙ্গ করলে এটি আর অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন হবে না, সরাসরি পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর যবিপ্রবিতে লিফট অপারেটর পদে চাকরি প্রার্থী অপহরণ ও হার্ড ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাও দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক চাকরি প্রার্থী।
এমআই