মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে প্রতারনা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দুইজনের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও এই ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার অভিযোগ করেছেন সেই সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এই অবস্থায় বিচার না পেলে স্বপরিবারে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন সেই নারী।
শনিবার রাতে জামালপুর শহরে প্রেসক্লাব জামালপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত মাসুদ উল হাসান (৩৮) বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের সন্তান। আরেক অভিযুক্ত মোঃ আঃ সালাম মাহমুদ বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জানান-একই শহরের বাসিন্দা থাকার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবত মাসুদের সাথে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় প্রচার-প্রচারনা ও নানা মিথ্যা কথা বলে তার কাছ থেকে চার লাখ বত্রিশ হাজার টাকা নেয় মাসুদ। এর দীর্ঘ দিন পর আরো টাকা দাবি করে মাসুদ। সেই টাকা না দেয়ায় তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়।
অভিযোগ করে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন-‘ সালামের কাছে আমি কিছু টাকা ধার নিয়েছিলাম। সেটি শোধ করছিলাম। কিন্তু মাসুদ ও সালাম দীর্ঘ দিন যাবত আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। সবশেষ ২০ মে রাতে তারা দুইজন আমার বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। কিন্তু সেই সময় আমার স্বামী চলে আসাই তারা পালিয়ে যায়।’
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন- ‘নির্বাচন থাকায় আমি এতোদিন আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারিনি। তবে ৭ জুন রাতে মাসুদ আবার আমাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াতে থাকে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।’
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন-‘আমি মামলা করার জন্য থানায় সারা রাত ছিলাম। সকালে আরেকবার গিয়েছিলাম। তবুও থানার ওসি আমার মামলা নেয়নি। আমি এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। হয় পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করুক না হয় আমি এই দুইজনের জন্য পরিবারসহ আত্মহত্যা করবো।’
তবে অভিযুক্ত মাসুদ উল হাসান মোবাইল ফোনে বলেন-‘সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যে অভিযোগটি করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি তাকে যৌন নিপীড়ন করেছি বা অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়েছি। এটা যদি তারা প্রমান করতে পারে না। গত তিন মাস যাবত তাদের সাথে আমার কথা হয় না।’
মাসুদ উল হাসান বলেন-‘অভিযোগকারীর সাথে আমাদের অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু তার স্বার্থে আঘাত লাগায় তিনি, তার স্বামী, তার বাবা ও ভাই মিলে ৭ জুন রাতে প্রান নাশের উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা করে। এই ঘটনা ধামা চাপা দিতেই তিনি এখন এসব নাটক সাজাচ্ছেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান বলেন-‘বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
সময় জার্নাল/এলআর