দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
বিয়ের দাবিতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন ধরে অনশন করছেন এক নারী (২৪)। দাবি না মানলে প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে তিনি। মঙ্গলবার (১১ জুন) পর্যন্ত ওই নারী অনশনে রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার (৮ জুন) উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে প্রেমিক আরাফাত মোল্যার বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন তিনি। আরাফাত একই গ্রামের জুলফিকার মোল্যার ছেলে।
ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক আরাফাত।
এলাকাবাসী জানান, ৬ মাস আগে চাকরির জন্য ওই নারী গোপালগঞ্জ শহরে যান। সেদিন বাসে করে বাড়িতে ফেরার সময় পরিচয় হয় এক সন্তানের জনক আরাফাত মোল্যার সঙ্গে। এর পর থেকে তাদের দুজনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা।
এ সময় তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী আরাফাতকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা তালবাহানা শুরু করেন আরাফাত।
একপর্যায়ে প্রেমিক আরাফাত বন্ধ করে দেন সব ধরনের যোগাযোগ। ওই নারী আরাফাতের খোঁজে ছুটে আসেন তার বাড়িতে। এসে জানতে পারেন, আরাফাতের স্ত্রী-সন্তানও রয়েছে। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। ৪ দিন ধরে সেখানে অনশন করেছেন তিনি। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘বিয়ের আশ্বাসে আরাফাত আমার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করেছে। আমার সর্বনাশ করেছে সে। এখন বিয়ে না করলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’
অভিযুক্ত আরাফাত মোল্যা আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ওই নারী অভিযোগ দিলে তাকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।’
সময় জার্নাল/এলআর