সময় জার্নাল ডেস্ক :
নারী কেলেঙ্কারি প্রমানিত হওয়ায় বরখাস্ত হওয়া জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে আর কোনো পদোন্নতি ছাড়াই চাকুরী থেকে অবসরে যেতে হবে।
নারী কেলেঙ্কারি প্রমানিত হওয়ায় বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
‘সরকারি কর্মচারী বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসাবে তিন বছরের জন্য নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে এখন থেকে আহমেদ কবীর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ষষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। তিনি বর্তমানে উপসচিব হিসেবে পঞ্চম গ্রেডে বেতন পান। পঞ্চম গ্রেডে তার মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। যদিও সাথে সাথে অন্যান্য ভাতা ও সুবিধাও পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্টে দুটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। বলা হয়, ওই ভিডিও জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অফিসের বিশ্রাম কক্ষ । পুরুষটি জেলা প্রশাসক নিজে এবং অন্যজন তার দপ্তরের একজন অফিস সহকারী যিনি একজন মহিলা।
তখন এ ঘটনায় তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ২৫ আগস্ট জেলা প্রশাসকের পদ থেকে আহমেদ কবীরকে সরিয়ে ওএসডি করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখার নেতৃত্বে গঠিত ওই তদন্ত কমিটি জামালপুর ঘুরে এসে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সময় জার্নাল/মাহিদুল/ইএইচ