নিজস্ব প্রতিনিধি:
শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগে দেশের অন্য নাগরিকদের মতোই শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার হচ্ছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ড. ইউনূস যা বলে বেড়ান, তা অসত্য বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১২ জুন) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদেরকে জানানো হয়েছে, ড. ইউনূস তার বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে যা বলে বেড়ান, সেটি অসত্য ও দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবহিত করা হয়েছে, ইউনূস শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। দেশের নাগরিকদের যেভাবে বিচার হয়। ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়াও ঠিক সেভাবেই হচ্ছে।
এদিকে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় আজ বুধবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের সময় ড. ইউনূসসহ অন্যরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেন। তারা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ড. ইউনূস ছাড়া অভিযোগপত্রে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কামরুল হাসানের নাম তদন্তের পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি ব্যক্তিদের নাম এজাহারে ছিল।
সময় জার্নাল/এলআর