শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পাবনার বিড়ি কোম্পানীর বিরুদ্ধে অর্ধশত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

বুধবার, জুন ১২, ২০২৪
পাবনার বিড়ি কোম্পানীর বিরুদ্ধে অর্ধশত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

আর কে আকাশ, পাবনা প্রতিনিধি: 

পাবনায় প্রতিষ্ঠিত বিড়ি কোম্পানীর মধ্যে ১০টি কোম্পানী অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সরকারের অর্ধশত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, পাবনার বিভিন্ন বিড়ি কোম্পানি নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ড রোল ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। জেলার অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে লাইসেন্সবিহীন কিছু কোম্পানি এইসব ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে বলেও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্কারোপকে স্বাগত জানিয়ে জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন বলেন, ‘গত মে মাসে শ্রমিক দিবস আমরা পাবনা জেলা বিড়ি শিল্পে ভ্যাট ও ট্যাক্সের দুর্দশা রোধ এবং বিড়ি শিল্প রক্ষায় একাধিক মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু আজ অবধি জেলা কাস্টমস কর্মকর্তারা কোন প্রকার গ্রহণযোগ্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।'

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সিহাব বিড়ি, মধু বিড়ি, স্পেশাল রাজা বিড়ি, রাজা, নুরজাহান, মহব্বৎ বিড়ি, নূরমহল, জামাল, নাহিদ বিড়ি রাজস্ব ফাঁকি দেয়াসহ কিছু কোম্পানি জাল/নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ড রোল ব্যবহার করে তাদের বিড়ি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। অথচ তাদের কম খুচরা মূল্যের বিড়ির কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় ও জেলার প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

হারিক হোসেন বিড়ি উৎপাদন ও রাজস্ব চুরির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘পাবনায় ২২টি বিড়ি কোম্পানির মধ্যে ১০টি কোম্পানী অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। সেই কোম্পানীগুলোর নাম উল্লেখ করে তাদের গত ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য তুলে ধরেন।'

তার দাবি 'কোম্পানিগুলো কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে ম্যানেজ করে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবাধে এই অবৈধ ব্যবসার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে পাবনাসহ পাশের কয়েকটি জেলাতে। এইসব রোধ করা গেলে শুধু পাবনা জেলা থেকেই প্রতি বছর প্রায় ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব।'

সংবাদ সম্মেলনে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রানী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, অর্থ সম্পাদক উৎসব আনন্দ রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলী খাতুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মোল্লা এবং কুষ্টিয়া জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল